সর্বশেষ

ক্ষমা করে দিও দীপু

খবরওয়ালা অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০শে ডিসেম্বর ২০২৫ অপরাহ্ণ ০৭:০২

ছবিঃ সংগৃহীত

একটি নাম: দীপু চন্দ্র দাস।

একটি মৃত্যু: রাষ্ট্রের চোখের সামনে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা।

একটি প্রশ্ন: আমরা কী মানুষ আছি?

ময়মনসিংহের মাটিতে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা ধর্মের নামে সংঘটিত হলেও আসলে এর সঙ্গে ধর্মের কোনো সম্পর্কই নেই। দীপু চন্দ্র দাস কোনো ধর্ম অবমাননা করেনি। সে ইসলাম বা নবীজী (সা.) সম্পর্কে একটি শব্দও বলেনি। সে শুধু নিজের যোগ্যতায়, পরিশ্রমে, সততায় গার্মেন্টসে সুপারভাইজার পদ পেয়েছিল।

আর এখানেই তার “অপরাধ”।

তার সহকর্মীদের মধ্যে আরও তিনজন ছিল—যারা টাকার লেনদেন করেও সেই পদ পায়নি। হিংসা, ক্ষোভ আর প্রতিহিংসা তখন ধর্মের মুখোশ পরে হাজির হয়। পরিকল্পিতভাবে দীপুর নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি খোলা হয়। সেখানে মিথ্যা, ঘৃণ্য, উসকানিমূলক পোস্ট ছড়ানো হয়—এই বলে যে, “এই হিন্দু ছেলেটা ইসলাম ও নবীজীকে অবমাননা করেছে।”

কিন্তু বাস্তবতা কী জানেন?

দীপু স্মার্টফোনই চালাত না।

সে ব্যবহার করত একটা সাধারণ বাটন ফোন।

এই সত্যটা পরে একই গার্মেন্টসে কর্মরত এক নারী সহকর্মী নিজ মুখে স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন—সবই সাজানো, সবই মিথ্যা।

কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গেছে।

উচ্ছৃঙ্খল, হিংস্র জনতা কোনো যাচাই না করেই ঝাঁপিয়ে পড়ে।

আইন নেই, বিচার নেই, প্রশ্ন নেই—

শুধু চিৎকার, উল্লাস আর পশুত্ব।

দীপুকে মারা হয়।

তারপর গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে জীবন্ত পুড়িয়ে ফেলা হয়।

আর সেই আগুনের চারপাশে দাঁড়িয়ে কিছু মানুষ উল্লাস করে—

যেন তারা কোনো পাপীকে নয়,

বরং মানবতাকেই পুড়িয়ে মারছে।

একটা তরুণ প্রাণ।

একটা পরিবার।

একটা ভবিষ্যৎ।

সব শেষ।

আজ প্রশ্ন উঠে আসে—

এর বিচার কে করবে?

রাষ্ট্র কি এখানে অন্ধ?

আইন কি শুধু বইয়ের পাতায়?

সংবিধান কি শুধু কাগজে লেখা?

সংখ্যালঘুর জীবন কি এতটাই সস্তা?

যদি একজন নিরপরাধ মানুষকে মিথ্যা অভিযোগে পিটিয়ে, ঝুলিয়ে, জীবন্ত পুড়িয়ে মারা যায়—

আর রাষ্ট্র নিশ্চুপ থাকে,

তাহলে কাল যে কোনো দীপুই আমরা হতে পারি।

এটা শুধু দীপু চন্দ্র দাসের হত্যাকাণ্ড নয়।

এটা আমাদের সমাজের নৈতিক পতনের নগ্ন দলিল।

এটা প্রমাণ করে—

ঘৃণা যখন ধর্মের মুখোশ পরে,

মানুষ তখন মানুষ থাকে না।

আজ দীপুর জন্য বিচার চাই।

কিন্তু তার চেয়েও বেশি চাই—

এমন আর কোনো দীপু যেন জন্ম না নেয়,

আর জন্ম নিলেও যেন রাষ্ট্র তাকে রক্ষা করে।

নইলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।

নিজঘরে কৃষকের গলাকাটা রহস্যময় মৃত্যু

নেট্রকোনার কালিয়ারা গাবরাগাতি ইউনিয়নের নারিয়াপাড়া গ্রামে এক কৃষককে ঘরে শুয়ে থাকা অবস্থায় গলা ক...

জটিলেশ্বর মুখোপাধ্যায়: চিরন্তন সঙ্গীতের নক্ষত্র

বাংলা সঙ্গীতের বিশাল আকাশে এমন কিছু নক্ষত্র থাকে, যারা নিঃশব্দে আলো ছড়িয়ে দেন, এবং তাদের উজ্জ্বলতা ত...

কার্লো আনচেলত্তির ছেলের নাম ঘিরে উত্তাল মাদ্রিদ, বদলাচ্ছে কি রিয়ালের ভবিষ্যৎ

স্পেনের ঐতিহ্যবাহী ও সবচেয়ে আলোচিত ফুটবল ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ আবারও শিরোনামে। তবে এবার বিষয়টি কোনও বড়...

১৩০০ খুনের রহস্য, কোনোকিছু ধরা হয়নি

প্রায় এক দশক পার হলেও রাজধানী ঢাকা এখনও অমীমাংসিত হত্যার ছায়া থেকে মুক্তি পায়নি। রামপুরার আবাসিক এলা...

কৃষি ব্যাংক সিএমএসএমই ঋণে অনেক পিছিয়ে

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি) কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ (সিএমএসএমই) খাতে নির্ধারিত ঋণ লক্ষ...

কলকাতায় বাংলাদেশী সংখ্যালঘুদের সুরক্ষায় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত

শনিবার বিকেলে ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী কলকাতায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও অধিকা...

সৌদি আরব চাইছে বাংলাদেশি ক্রিকেটার!

সৌদি আরব সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে খেলোয়াড় এবং কোচ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। খবরটি ক্রিকবাজের মাধ্যমে...

দেশে ফিরল শহীদ ছয় শান্তিরক্ষীর মরদেহ

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে ১৩ই ডিসেম্বর সংঘটিত নিষ্ঠুর ড্রোন হামলায়...

ব্রিটেনে এআইয়ের কারণে চাকরিতে বিশাল পরিবর্তন আসছে

যুক্তরাজ্যের কর্মসংস্থান বাজার গভীর পরিবর্তনের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে, এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন ব্যাংক অ...

ইসাকের হ্যাটট্রিক মুহূর্ত: জেতালেন, ছেড়ে মাঠ ছাড়লেন

লিভারপুলের সমর্থকদের জন্য শনিবারের রাতটি ছিল একেবারেই আবেগের মিশ্রণ। টটেনহ্যাম হটস্পারের বিপক্ষে ২-১...

কামরাঙ্গীরচরে স্কুল ছাত্রের উপর ছুরিকাঘাত, একজন গ্রেফতার

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে স্কুল-সম্পর্কিত সহিংসতার একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনায় পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী গু...

অস্ট্রেলিয়ার চূড়ান্ত বিজয়, আক্রমণেও থেমে গেল ইংল্যান্ড

অস্ট্রেলিয়া তাদের অভিজাত অ্যাশেস সিরিজের জয় নিশ্চিত করল, যখন তারা এডিলেড ওভালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টেস...